আমরা যে কেউ যে কোনো সময়ে বদনজরের শিকার হতে পারি। বদনজর – যাকে ইংরেজিতে ‘evil eye‘ বলা হয়, এমন একটি বিপদ যার মাধ্যমে শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি হতে পারে। বদনজর একজন সুস্থ মানুষকে অসুস্থ করে তুলতে পারে, তার জীবনযাত্রায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং এমনকি তার সম্পদ বা পারিবারিক সুখও কেড়ে নিতে পারে।
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বদনজরের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমাদের সতর্ক করেছেন এবং এর প্রতিকারের জন্য দু’আ ও কুরআনের আয়াত পাঠের নির্দেশনা দিয়েছেন। রুকইয়াহ হলো সেই শক্তিশালী ইসলামিক পদ্ধতি, যার মাধ্যমে কুরআনের আয়াত এবং সহিহ হাদিসে বর্ণিত দু’আ পাঠ করে বদনজরের প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
যদি কোনো ব্যক্তি বদনজরের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থতায় ভোগেন, তবে নির্দিষ্ট কিছু আয়াত বারবার পাঠ করে রুকইয়াহ করা খুবই কার্যকর। এখানে বদনজর থেকে মুক্তির জন্য রুকইয়াহ করার উপযোগী কিছু কুরআনের আয়াত দেওয়া হলো:
আল্লাহর নামে।
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, এবং সালাত ও সালাম আল্লাহর রাসূলের উপর।
আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় চাচ্ছি যাবতীয় শয়তান, বিষাক্ত জীব এবং যাবতীয় অনিষ্টকর চোখের কুপ্রভাব থেকে।
আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের মাধ্যমে তার ক্রোধ, শাস্তি, তার বান্দাদের অনিষ্ট, শয়তানদের কুমন্ত্রণা এবং তাদের উপস্থিতি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
আমি মহান আল্লাহ, যিনি আরশে আজিমের প্রভু, তার কাছে তোমাদের সুস্থতা কামনা করছি।
হে আল্লাহ, হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী! সকল হিংসাগ্রস্ত ও কুদৃষ্টির শিকার ব্যক্তিকে সুস্থ করে দাও।
আমি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তানের প্ররোচনা, ফুঁক ও মন্ত্রণা থেকে আশ্রয় চাই।
দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহর নামে।
সূরা আল-ফাতিহা
সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি সকল সৃষ্টির রব।
যিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা।
যিনি বিচার দিবসের মালিক।
আমরা শুধু আপনারই ইবাদত করি এবং শুধু আপনারই কাছে সাহায্য চাই।
আমাদেরকে সরল পথ দেখান।
তাদের পথ, যাদেরকে আপনি অনুগ্রহ করেছেন।
যাদের উপর আপনার ক্রোধ আপতিত হয়নি এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়।
সূরা আল-বাকারাহ
বিদ্যুৎ ঝলক যেন তাদের দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছিলো। যখনই তা তাদের জন্য আলোকিত হয়, তারা তাতে কিছুদূর চলে; আর যখনই তা তাদের উপর অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়, তারা দাঁড়িয়ে পড়ে। আল্লাহ যদি চাইতেন, তবে তাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিতেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। (২০)
আর যখন মূসা তার কওমের জন্য পানি প্রার্থনা করলো, তখন আমরা বললাম, ‘তোমার লাঠি দিয়ে পাথরে আঘাত করো।’ ফলে তা থেকে বারোটি ঝর্ণা প্রবাহিত হলো। প্রতিটি গোত্র তাদের পান করার স্থান জেনে নিলো। আল্লাহর দেওয়া রিযিক থেকে খাও ও পান করো এবং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টিকারীরূপে বিচরণ করো না। (৬০)
তারা বললো, ‘আপনার রবের কাছে আমাদের জন্য দোয়া করুন, তিনি যেন আমাদেরকে বলে দেন যে এর রং কেমন হবে।’ মূসা বললো, ‘তিনি বলছেন যে, সেটা এমন একটি গাভী, যার রং উজ্জ্বল হলুদ, যা দর্শকদেরকে আনন্দিত করে।’ (৬৯)
আহলে কিতাবদের অনেকেই চায় যে, তোমাদেরকে ঈমান আনার পর আবার কাফিরে পরিণত করতে, তাদের অন্তরের হিংসার কারণে—তাদের কাছে সত্য সুস্পষ্ট হওয়ার পরেও। সুতরাং তোমরা ক্ষমা করো এবং উপেক্ষা করো, যতক্ষণ না আল্লাহ তার নির্দেশ নিয়ে আসেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। (১০৯)
তাদের নবী তাদেরকে বললো, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের জন্য তালুতকে বাদশাহরূপে পাঠিয়েছেন।’ তারা বললো, ‘আমাদের উপর তার রাজত্ব কীভাবে হতে পারে? আমরা তো তার চেয়ে রাজত্বের বেশি হকদার, আর তাকে তো প্রচুর সম্পদও দেওয়া হয়নি।’ নবী বললো, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে তোমাদের উপর মনোনীত করেছেন এবং তাকে জ্ঞান ও শারীরিক শক্তিতে সমৃদ্ধি দিয়েছেন। আর আল্লাহ যাকে চান তাকে তার রাজত্ব দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, মহাজ্ঞানী।’ (২৪৭)
আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তন্দ্রা বা ঘুম তাকে স্পর্শ করে না। আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে, সবই তাঁর। কে আছে এমন, যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করতে পারে? তিনি তাদের সামনে যা কিছু আছে এবং তাদের পিছনে যা কিছু আছে, সবই জানেন। আর তারা তার জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, তবে তিনি যা চান তা ব্যতীত। তার কুরসি আসমান ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে এবং এই দুইটির রক্ষণাবেক্ষণ তাকে ক্লান্ত করে না। তিনি সুউচ্চ, সুমহান। (২৫৫)
তিনি যাকে চান প্রজ্ঞা দান করেন। আর যাকে প্রজ্ঞা দেওয়া হয়, তাকে প্রভূত কল্যাণ দান করা হয়। আর বোধসম্পন্ন ব্যক্তিরা ছাড়া কেউ উপদেশ গ্রহণ করে না। (২৬৯)
রাসূল তার রবের পক্ষ থেকে তার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, তার উপর ঈমান এনেছেন, আর মুমিনগণও। তারা সবাই আল্লাহ, তার ফেরেশতাগণ, তার কিতাবসমূহ এবং তার রাসূলগণের উপর ঈমান এনেছে। (তারা বলে), ‘আমরা তার রাসূলগণের কারো মধ্যে কোনো পার্থক্য করি না।’ আর তারা বলে, ‘আমরা শুনলাম ও মান্য করলাম। হে আমাদের রব! আমরা আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল।’ (২৮৫)
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যের বাইরে কোনো কিছুর দায়িত্ব দেন না। যা সে অর্জন করে তা তারই, আর যা সে উপার্জন করে (মন্দ কাজ), তার প্রতিফল তারই উপর বর্তাবে। হে আমাদের রব! যদি আমরা ভুলে যাই অথবা কোনো ভুল করি, তবে আমাদেরকে ধরবেন না। হে আমাদের রব! আমাদের উপর এমন বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন আপনি আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়েছিলেন। হে আমাদের রব! আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না, যার ভার বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আর আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদেরকে মাফ করে দিন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে বিজয় দান করুন। (২৮৬)
সূরা আলে ইমরান
তোমরা তো মৃত্যুর সম্মুখীন হওয়ার আগে তা কামনা করেছিলে; এখন তা নিজ চোখে দেখলে। (১৪৩)
সূরা নিসা
নাকি তারা মানুষকে সেই জন্য হিংসা করে, যা আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের দান করেছেন? আমরা তো ইব্রাহিমের বংশধরদেরকে কিতাব ও হিকমত দান করেছি এবং তাদেরকে বিশাল রাজত্বও দিয়েছি। (৫৪)
সূরা মায়েদাহ
আর আমরা তাদের জন্য তাতে লিখে দিয়েছিলাম যে, প্রাণের বদলে প্রাণ, চোখের বদলে চোখ, নাকের বদলে নাক, কানের বদলে কান, দাঁতের বদলে দাঁত এবং জখমের জন্য সমান বদলা। অতঃপর যে তা ক্ষমা করে দেবে, তা তার জন্য কাফ্ফারা হয়ে যাবে। আর যারা আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান অনুযায়ী বিচার করে না, তারাই যালিম। (৪৫)
যখন তারা রাসূলের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা শোনে, তখন তুমি তাদের চোখ দেখতে পাবে যে, তা অশ্রু প্রবাহিত করে; কারণ তারা সত্যকে চিনতে পেরেছে। তারা বলে, ‘হে আমাদের রব! আমরা ঈমান এনেছি, সুতরাং আমাদের সাক্ষ্যদাতাদের অন্তর্ভুক্ত করে নিন।’ (৮৩)
সূরা আন’আম
কোনো দৃষ্টি তাকে দেখতে পায় না, কিন্তু তিনিই সকল দৃষ্টিকে দেখতে পান। আর তিনি অতি সূক্ষ্মদর্শী, সর্বজ্ঞ। (১০৩)
সূরা আ’রাফ
এবং সে তার হাত বের করলো, তখনই তা দর্শকদের জন্য উজ্জ্বল সাদা হয়ে গেল। (১০৮)
সূরা আনফাল
সত্য সুস্পষ্ট হওয়ার পরও তারা তোমার সাথে বিতর্ক করে, যেন তাদেরকে মৃত্যুর দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আর তারা তা তাকিয়ে দেখছে। (৬)
সূরা তাওবাহ
যখনই কোনো সূরা নাযিল হয়, তখন তারা একে অপরের দিকে তাকায় (এবং বলে), ‘তোমাদেরকে কি কেউ দেখছে?’ এরপর তারা সরে পড়ে। আল্লাহ তাদের অন্তরকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, কারণ তারা এমন এক সম্প্রদায় যারা উপলব্ধি করে না। (১২৭)
সূরা ইউসুফ
এবং তিনি বললেন, ‘হে আমার ছেলেরা! তোমরা সবাই এক দরজা দিয়ে প্রবেশ করো না, বরং ভিন্ন ভিন্ন দরজা দিয়ে প্রবেশ করো। আর আমি আল্লাহর কোনো বিধান থেকে তোমাদের রক্ষা করতে পারি না। বিধান কেবল আল্লাহরই। তাঁরই উপর আমি ভরসা করেছি, এবং ভরসাকারীদের তাঁরই উপর ভরসা করা উচিত। (৬৭)
এবং তিনি তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন আর বললেন, ‘হায় ইউসুফের জন্য আমার আক্ষেপ!’ আর দুঃখে তার চোখ দুটি সাদা হয়ে গিয়েছিল, তাই তিনি শোক সংবরণকারী ছিলেন। (৮৪)
সূরা হিজর
তাদের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণীকে আমরা যে ভোগ-বিলাসের সামগ্রী দিয়েছি, তুমি সেদিকে তোমার দু’চোখ প্রসারিত করো না এবং তাদের জন্য দুঃখ করো না। আর তুমি মুমিনদের জন্য তোমার ডানা নত করো। (৮৮)
সূরা কাহফ
তোমার বাগানে প্রবেশকালে তুমি কেন বললে না, ‘আল্লাহ যা চেয়েছেন (তাই হয়েছে), আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি নেই!’ যদি তুমি আমাকে সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে তোমার চেয়ে কম দেখ। (৩৯)
সুতরাং আশা করা যায়, আমার রব আমাকে তোমার বাগানের চেয়েও উত্তম কিছু দান করবেন এবং তোমার বাগানের উপর আকাশ থেকে এক কঠিন আঘাত পাঠাবেন, ফলে তা মসৃণ ময়দানে পরিণত হবে। (৪০)
সূরা আম্বিয়া
তারা বললো, ‘তাকে মানুষের চোখের সামনে নিয়ে এসো, যাতে তারা দেখতে পায়।’ (৬১)
সূরা নামল
আর আমরা তো দাউদ ও সুলায়মানকে জ্ঞান দান করেছি এবং তারা দু’জন বললো, ‘সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদেরকে তার অনেক মুমিন বান্দার উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন।’ (১৫)
আর সুলায়মান দাউদের উত্তরাধিকারী হলো এবং বললো, ‘হে মানবজাতি! আমাদেরকে পাখির ভাষা শেখানো হয়েছে এবং আমাদেরকে সবকিছুই দেওয়া হয়েছে। নিশ্চয়ই এটি সুস্পষ্ট অনুগ্রহ।’ (১৫)
সূরা ইয়াসিন
এবং আমরা তাদের সামনে একটি প্রাচীর ও তাদের পেছনে একটি প্রাচীর তৈরি করেছি, অতঃপর তাদেরকে ঢেকে দিয়েছি, ফলে তারা দেখতে পায় না। (৯)
সূরা সাফফাত
অতঃপর তিনি নক্ষত্ররাজির দিকে একবার তাকালেন এবং বললেন, ‘নিশ্চয় আমি অসুস্থ।’ (৮৯)
অতঃপর তারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার ইচ্ছা করলো, কিন্তু আমরা তাদেরকে হীন করে দিলাম। (৯৮)
সূরা মু’মিন / গাফির
চোখের গোপন দৃষ্টি এবং অন্তর যা গোপন করে, তিনি তা জানেন। (১৯)
সূরা ক্বাফ
তারা কি তাদের উপরের আকাশের দিকে তাকায়নি, আমরা কীভাবে তা নির্মাণ করেছি ও সজ্জিত করেছি এবং তাতে কোনো ফাটল নেই? (৬)
সূরা জারিয়াত
অতঃপর তারা তাদের রবের আদেশ অমান্য করলো, ফলে তাদেরকে বজ্রপাত আঘাত করলো, আর তারা তা তাকিয়ে দেখছিল। (৪৪)
সূরা কামার
এবং আমরা ভূমি থেকে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত করলাম, অতঃপর পানি একত্রিত হলো সেই কাজের জন্য, যা নির্ধারিত ছিল। (১২)
সূরা রহমান
সে দুটি জান্নাতে আছে দুটি উচ্ছলিত ঝর্ণা। সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে? (৬৬,৬৭)
সূরা ওয়াকি’আ
তাহলে যখন প্রাণ কণ্ঠনালী পর্যন্ত এসে যায় এবং তোমরা তখন তাকিয়ে দেখছ। (৮৪)
সূরা মুলক
যিনি সাত আসমানকে স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। পরম দয়াময়ের সৃষ্টিতে তুমি কোনো অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। সুতরাং তুমি চোখ ফিরিয়ে দেখো, কোনো ফাটল দেখতে পাও কি? (৩)
অতঃপর তুমি চোখ আবার দু’বার ফিরিয়ে দেখো, তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে। (৪)
সূরা ক্বলাম
অতঃপর তার রব তাকে মনোনীত করলেন এবং তাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করলেন। (৫০)
যারা কুফরী করে, তারা যখন উপদেশ শোনে, তখন তারা যেন তাদের হিংসুক দৃষ্টি দ্বারা তোমাকে আছাড় মেরে ফেলে দেবে এবং তারা বলে, ‘নিশ্চয়ই সে তো পাগল।’ (৫১)
অথচ এই কুরআন তো শুধু বিশ্ববাসীর জন্য উপদেশ। (৫২)
সূরা ক্বিয়ামাহ
যখন দৃষ্টি চমকিত হবে, এবং চাঁদ জ্যোতিহীন হয়ে যাবে, এবং সূর্য ও চাঁদকে একত্রিত করা হবে, সেদিন মানুষ বলবে, ‘কোথায় পালাবার জায়গা?’ (৯,১০)
সেদিন কিছু চেহারা হবে সতেজ, তাদের রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে। (২২,২৩)
সূরা দাহর
একটি ঝর্ণা, যা থেকে আল্লাহর বান্দারা পান করবে, তারা সেটিকে যেখানে ইচ্ছা প্রবাহিত করবে। (৬)
সেখানে একটি ঝর্ণা আছে, যার নাম সালসাবিল। (১৮)
সূরা নাযি’আত
যেদিন প্রকম্পনকারী বস্তু প্রকম্পিত হবে, তার পেছনে অনুসরণকারী আসবে। সেদিন অনেক অন্তর বিচলিত থাকবে, তাদের দৃষ্টিসমূহ অবনমিত থাকবে। (৭)
সূরা গাশিয়াহ
তাতে আছে একটি প্রবাহিত ঝর্ণা। (১২)
সূরা বালাদ
সে কি মনে করে যে, তাকে কেউ দেখেনি? (৯৭)
আমরা কি তাকে দুটি চোখ দেইনি? আর একটি জিহ্বা ও দুটি ঠোঁট? আর আমরা তাকে দুটি পথ (ভালো ও মন্দ) দেখিয়েছি। (১০)
সূরা ইখলাস
বলো, তিনি আল্লাহ, এক ও অদ্বিতীয়।
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও জন্ম দেওয়া হয়নি।
এবং তার সমকক্ষ কেউ নেই।
সূরা ফালাক
বলো, আমি আশ্রয় চাই প্রভাতের রবের কাছে।
যা কিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে।
এবং রাতের অনিষ্ট থেকে, যখন তা গভীর হয়।
এবং গ্রন্থিতে ফুঁকদানকারিনীদের অনিষ্ট থেকে।
এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে, যখন সে হিংসা করে।
সূরা নাস
বলো, আমি মানুষের রবের কাছে আশ্রয় চাই।
মানুষের অধিপতির।
মানুষের উপাস্যের।
যে কুমন্ত্রণাদাতা আত্মগোপনকারী শয়তানের অনিষ্ট থেকে।
যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়।
জিন ও মানুষের মধ্য থেকে।
রুকইয়ার এই আয়াতগুলো নিয়মিত পাঠ করা এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখা বদনজর থেকে সুরক্ষার একটি শক্তিশালী উপায়। যদি কোনো ব্যক্তি বা তার পরিবারের কেউ বদনজরে আক্রান্ত হয় বলে মনে করেন, তবে এই আয়াতগুলো বারবার পাঠ করে পানিতে ফুঁ দিয়ে পান করা বা গোসল করা যেতে পারে। আল্লাহ আমাদের সকলকে সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে রক্ষা করুন।