ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মানব জাতির জন্য একমাত্র মুক্তির পথ ও নির্দেশিকা। যুগে যুগে মহান আল্লাহ পৃথিবীতে অসংখ্য নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করতে তথা ইসলামের দাওয়াত দিতে। সর্বশেষ এই দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে আসেন সর্বশেষ নবী ও রাসূল মুহাম্মাদ সা.। তাঁর জীবদ্দশাতেই ইসলামের পূর্ণতা পায় এবং আল্লাহ তা‘য়ালা ইসলামকে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে নির্ধারণ করে দেন।
ইসলামের পরিচয়
‘ইসলাম’ আরবী শব্দ। ’اَلْإِسْلَامُ‘ ক্রিয়ামূল থেকে এর অর্থ, ‘নতি স্বীকার করা’, ‘আত্মসমর্পণ করা’, `Submission [to Allah]’। পরিভাষায় ‘ইসলাম’ দ্বারা মহান আল্লাহ তা‘য়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করাকে বোঝানো হয়। যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘য়ালার নিকট নিজেকে সমর্পণ করে তাকে ‘মুসলিম’ বলে। অর্থাৎ, যে ব্যক্তি নিজের ইচ্ছামত ও খেয়াল খুশিমত না চলে সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা‘য়ালার আদেশ ও নিষেধ মেনে চলে, প্রতিটি কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে এবং নিজেকে তাঁর প্রতি পুরোপুরি সমর্পণ করে দেয় তাকেই ‘মুসলিম’ বলে।
ইসলামের পরিচয়
‘ইসলাম’ আরবী শব্দ। ’اَلْإِسْلَامُ‘ ক্রিয়ামূল থেকে এর অর্থ, ‘নতি স্বীকার করা’, ‘আত্মসমর্পণ করা’, `Submission [to Allah]’। পরিভাষায় ‘ইসলাম’ দ্বারা মহান আল্লাহ তা‘য়ালার কাছে আত্মসমর্পণ করাকে বোঝানো হয়। যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘য়ালার নিকট নিজেকে সমর্পণ করে তাকে ‘মুসলিম’ বলে। অর্থাৎ, যে ব্যক্তি নিজের ইচ্ছামত ও খেয়াল খুশিমত না চলে সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা‘য়ালার আদেশ ও নিষেধ মেনে চলে, প্রতিটি কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে এবং নিজেকে তাঁর প্রতি পুরোপুরি সমর্পণ করে দেয় তাকেই ‘মুসলিম’ বলে।
দ্বীন বা ধর্মের পরিচয়
দ্বীন শব্দের বেশকিছু অর্থ রয়েছে। মৃত্যুর পর প্রতিটি মানুষকে তিনটি প্রশ্ন করা হবে। তন্মধ্যে একটি প্রশ্ন হলো, ما دينك؟ ‘তোমার দ্বীন কী’? এখানে দ্বীন বলতে, জীবন ব্যবস্থা বা ধর্ম। আমরা আমাদের পার্থিব জীবনে যে পথ ও পদ্ধতি অনুসরণ করে চলবো বা যার উপর ভিত্তি করে আমাদের পথচলা সেটিই আমাদের দ্বীন। পৃথিবীর সকল ধর্ম একেকটি ভিন্日本藤素
ন ভিন্ন দ্বীন বা জীবনব্যবস্থা।
হাদীসে ইসলামের পরিচয়
হাদীসে জিবরীল খ্যাত ঐতিহাসিক একটি হাদীসে ইসলামের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। একবার নবী সা. সবার সামনে উপবিষ্ঠ ছিলেন। তখন মানুষের ছদ্মবেশে জিবরীল আ. এসে নবী সা. কে পরপর কয়েকটি প্রশ্ন করেন। তন্মধ্যে একটি হলো, ‘ইসলাম’ কী? উত্তরে নবী সা. বলেন-
قَالَ ” الإِسْلاَمُ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ وَلاَ تُشْرِكَ بِهِ، وَتُقِيمَ الصَّلاَةَ، وَتُؤَدِّيَ الزَّكَاةَ الْمَفْرُوضَةَ، وَتَصُومَ رَمَضَانَ ”
‘ইসলাম হলো, তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না, সালাত প্রতিষ্ঠা করবে, ফরজকৃত বিধান যাকাত প্রদান করবে আর রমাদানের সিয়াম পালন করবে।’ (বুখারী: ৫০) এখানে ইসলামের পরিচয়ে পাঁচটি মূল ভিত্তির কথা বলা হয়েছে।
ইসলাম একটি পরিপূর্ণ দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা)
বিদায় হজ্বের ভাষণে রাসূল সা. এর প্রতি সবিশেষ ওহী ছিল দ্বীন হিসেবে ইসলামের পরিপূর্ণতা নিয়ে। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ তা‘য়ালা বলেন,
﴿ٱلۡيَوۡمَ أَكۡمَلۡتُ لَكُمۡ دِينَكُمۡ وَأَتۡمَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ نِعۡمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلۡإِسۡلَٰمَ دِينٗا﴾
‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিলাম এবং তোমাদের ওপর আমার নি‘আমত পূর্ণ করলাম; আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসেবে নির্বাচন করলাম।’ (মায়িদা: ৩)
এই ইসলাম নবী সা. এর মাধ্যমে পূর্ণতা পেয়েছে। কিয়ামত পর্যন্ত এটি অটল, অবিকৃত ও অবিচল থাকবে। আর আল্লাহ তা‘য়ালা মুমীনদের জন্য দ্বীন হিসেবে ইসলামকে নির্বাচন করে দিয়েছেন। তাই ইসলামের মধ্যে নতুন করে কোনো কিছু তৈরি, পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের সুযোগ নেই। আর ইসলাম কিয়ামত পর্যন্ত একটি সার্বজনীন, জীবন ঘনিষ্ঠ ও শাশ্বত দ্বীন হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইসলামই একমাত্র আল্লাহর মনোনীত দ্বীন
মহান আল্লাহ কর্তৃক বান্দাদের জন্য নির্ধারিত ও মনোনীত দ্বীন হলো ‘ইসলাম’। ইসলামই একমাত্র দুনিয়া ও পরকালীন জীবনে মুক্তির পথ। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,
﴿إِنَّ ٱلدِّينَ عِندَ ٱللَّهِ ٱلۡإِسۡلَٰمُۗ﴾
‘নিশ্চয় ইসলামই আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন।’ (আল ইমরান: ১৯)
ইসলাম ছাড়া অন্য সকল মতবাদ বাতিল ও অগ্রহণযোগ্য
মহান প্রতিপালক আল্লাহ তা‘য়ালা নবী সা. এর মাধ্যমে যে ইসলাম মানব জাতির জন্য নির্ধারণ করেছেন তা ব্যতীত অন্য সকল ধর্ম, দ্বীন ও মতবাদ বাতিল ও অগ্রহণযোগ্য। ইসলাম ব্যতীত সকল পথ ও মত আল্লাহর কাছে মূল্যহীন। কোনো ব্যক্তির যত ভালো কর্মই হোক না কেন তা আর গ্রহণযোগ্য হবে না। আর আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা‘য়ালা বলেন-
﴿وَمَن يَبۡتَغِ غَيۡرَ ٱلۡإِسۡلَٰمِ دِينٗا فَلَن يُقۡبَلَ مِنۡهُ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٨٥﴾
‘আর কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনো দ্বীন গ্রহণ করতে চাইলে তা কখনো তার নিকট থেকে গ্রহণ করা হবে না এবং সে হবে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।’ (আল ইমরান: ৮৫)
ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ করা
যে ব্যক্তি ইসলাম তথা আত্মসমর্পণ করেছে তাকে ‘মুসলিম’ বলা হবে। মুসলিম ব্যক্তি সর্বাবস্থায় আল্লাহর কাছে নিজেকে আত্মসমর্পণ করে চলবে। যুগে যুগে নবী ও রাসূলগণ এই সার্বজনীন দ্বীন ‘ইসলামের’ দাওয়াত প্রচার করেছেন। পবিত্র কুরআনে নূহ আ. এর ব্যাপারে ইরশাদ হচ্ছে, তিনি বলেন-
﴿وَأُمِرۡتُ أَنۡ أَكُونَ مِنَ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ٧٢﴾
‘আর আমাকে আদেশ করা হয়েছে আমি যেন মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত হই।’ (ইউনুস: ৭১)
মহান আল্লাহ ইবরাহিম আ. কে ইসলামের ব্যাপারে আদেশ করেছেন,
﴿أَسۡلِمۡۖ قَالَ أَسۡلَمۡتُ لِرَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٣١﴾
‘আপনি আত্মসমর্পণ করুন, তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বিশ্বজাহানের প্রতিপালকের কাছে আত্মসমর্পণ করলাম।’ (বাক্বারা: ১৩১)
মহান আল্লাহর আদেশ
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বিশ্বাসীদেরকে আদেশ করেছেন যেন মুসলিম না হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ না করে। এ ব্যাপারে ইরশাদ হচ্ছে,
﴿ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ﴾
‘হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে যথাযথভাবে ভয় করো এবং মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।’ (আল ইমরান: ১০২)
দ্বীন হিসেবে ইসলামের সহজতা
আল্লাহ তা‘য়ালা মানব কল্যাণে ও তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ হিসেবে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান ‘ইসলাম’কে নির্বাচন করেছেন। পৃথিবীর সকল ধর্মের উপরে একমাত্র নিখাঁদ, সংশয়মুক্ত ও শাশ্বত ঐশী জীবন বিধান হলো ‘ইসলাম’। ফলে ইসলামের কাছে পৃথিবীর সকল মানবসৃষ্ট ধর্ম পরাজিত। পৃথিবীতে বিদ্যমান কোনো ধর্ম বিকৃত হয়ে গেছে, কোনো ধর্ম নিছক মানুষের তৈরি, কোনো ধর্ম সম্পূর্ণ ভ্রান্তি ও অযৌক্তিক ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু ইসলামের সত্যতা, শ্রেষ্ঠত্ব, মাহাত্ম্য ও সৌন্দর্য সবকিছুকে হার মানিয়েছে। মানব জীবনের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি বিষয়ে রয়েছে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনা। আছে জীবন ঘনিষ্ঠ ও অতুলনীয় বিধান। ইসলাম সকল প্রকার সমস্যা ও জটিলতামুক্ত এবং সহজতর একটি দ্বীন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,
﴿ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ﴾
‘আল্লাহ তা‘য়ালা তোমাদের ব্যাপারে সহজতা চান, জটিল ও কঠিনতা চান না।’ (বাক্বারা: ১৮৫)
সকল প্রকার সংকীর্ণতামুক্ত দ্বীন
ইসলাম উদার ও মানবিকতা সম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ দ্বীন। কোনোরূপ সংকীর্ণতা বা বাড়াবাড়ির জায়গা ইসলামে নেই। মহান আল্লাহ তা‘য়ালা বলেন,
﴿وَمَا جَعَلَ عَلَيۡكُمۡ فِي ٱلدِّينِ مِنۡ حَرَجٖ﴾
‘তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোনো সংকীর্ণতা বা কঠোরতা চাপিয়ে দেননি।’ (সুরা হজ্ব: ৭৮)
মুসলিমগণ মধ্যমপন্থী জাতি
সকল প্রকার প্রান্তিকতামুক্ত উদার ও মধ্যমপন্থাই হলো শ্রেষ্ঠতম পথ। আল্লাহ তা‘য়ালা এই দ্বীনকে একটি মধ্যমপন্থী দ্বীন বানিয়েছেন। আর ইসলামের অনুসারীগণ হলো উম্মাহর মধ্যমপন্থী ও সাক্ষ্যদানকারী জাতি। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,
﴿وَكَذَٰلِكَ جَعَلۡنَٰكُمۡ أُمَّةٗ وَسَطٗا لِّتَكُونُواْ شُهَدَآءَ عَلَى ٱلنَّاسِ وَيَكُونَ ٱلرَّسُولُ عَلَيۡكُمۡ شَهِيدٗاۗ ﴾
‘আর এভাবে আমি তোমাদেরকে এক মধ্যমপন্থী জাতিতে পরিণত করেছি, যাতে তোমরা মানবজাতির উপর সাক্ষী হও এবং রাসূল তোমাদের উপর সাক্ষী হতে পারেন।’ (বাক্বারা: ১৪৩)
ইসলামের অনুসারীরা শ্রেষ্ঠতম জাতি
ইসলামের অনুসারীগণ তথা মুসলিম জাতি নিঃসন্দেহে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি এবং মানবকল্যাণে তাদের আত্মপ্রকাশ। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘য়ালা বলেন,
﴿كُنتُمۡ خَيۡرَ أُمَّةٍ أُخۡرِجَتۡ لِلنَّاسِ ١١٠﴾
‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি, মানব জাতির কল্যাণের জন্য যাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে।’ (আল ইমরান: ১১০)
প্রকৃতির ধর্ম হলো ইসলাম
আল্লাহ তা‘য়ালা এই বিশ্বজাহানকে সৃষ্টি করেছেন আপন কুদরতে। প্রকৃতিকে তিনি নিজের মত সাজিয়েছেন আর ছেড়ে দিয়েছেন আপন অবস্থায়। প্রকৃতির দিন রাত্রি, আকাশ বাতাস, পৃথিবীর বুকে হাজারো সৃষ্টিকুল সবকিছু আপন গতিতে চলমান। এই প্রকৃতির নির্ধারিত ধর্ম বা নিজস্ব ‘ঘধঃঁৎব’ রয়েছে। আর সেটি হলো ‘ইসলাম’। পৃথিবীর সকল জড়বস্তু ও জীববস্তু আল্লাহর কাছে সমর্পণ করেছে বা ইসলামের উপর রয়েছে। এরপরেও যারা অবিশ্বাস করে ও ইসলাম বাদ দিয়ে অন্য পথ তালাশ করে তাদের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে আল্লাহ তা‘য়ালা বলেন-
﴿ أَفَغَيْرَ دِينِ اللَّهِ يَبْغُونَ وَلَهُ أَسْلَمَ مَن فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَإِلَيْهِ يُرْجَعُونَ٠﴾
‘তারা কি আল্লাহর দ্বীনের পরিবর্তে অন্য দ্বীন তালাশ করছে? অথচ আসমান ও যমিনে যা কিছু রয়েছে স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক, তাঁরই অনুগত এবং তাঁর নিকটই ফিরে যাবে।’ (আল ইমরান: ৮৩)
প্রতিটি নবজাত শিশুই প্রকৃতির ধর্ম (ইসলামের) উপর জন্মগ্রহণ করে
ইসলাম প্রকৃতির ধর্ম। তাই প্রতিটি নবজাত শিশুই ফিতরাত বা প্রকৃতির ধর্ম অর্থাৎ স্বভাবগতভাবেই ইসলামের উপর জন্মগ্রহণ করে। পরে তাদের পিতামাতা ও পারিপার্শ্বিকতার কারণে ভিন্ন ধর্ম ও মতে দীক্ষিত হয়। কিন্তু আদতে প্রত্যেকের যাত্রা শুরু হয় ইসলামের উপর। রাসূল সা. বলেন-
كُلُّ مَوْلُودٍ يُولَدُ عَلَى الفِطْرَةِ، فَأَبَوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ أَوْ يُنَصِّرَانِهِ أَوْ يُمَجِّسَانِهِ.
‘প্রত্যেক নবজাত শিশু ফিতরাত তথা ইসলামের উপর জন্মগ্রহণ করে। অতঃপর তার পিতামাতা ইয়াহুদি, খৃস্টান অথবা অগ্নি উপাসকে পরিণত করে।’ (বুখারী: ১৩৮৫)
এই হাদীসের ব্যাখ্যাকারীগণ লিখেছেন, এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, কোনো শিশুকে যদি জন্মের পর কোনো বদ্ধ ঘরে বা জঙ্গলে রেখে দেয়া হয়, তবু সে প্রাপ্ত বয়সে উপনীত হলে তার রবকে ঠিকই চিনে নিতে পারবে।
আধুনিক বিজ্ঞানের স্বীকৃতি
ÔUniversity of Oxford’s Centre for Anthropology and Mind’ এর সিনিয়র গবেষক ড. জাস্টিন ব্যারেট এর নেতৃত্বে পরিচালিত ১০ বছরের গবেষণা শেষে বলা হয়, শিশুদের কাছে কোনো কিছু কারণহীন বা অর্থহীন নয়। তাদেরকে এমনিতে রেখে দিলেও তারা বুঝে নিবে যে, পৃথিবী ও এর ডিজাইনগুলো কারণসর্বস্ব এবং কোনো বিজ্ঞ সত্ত্বা এসব কারণের পেছনে আছেন। তিনি বলেন, ‘যদি কয়েকটি শিশুকে মরুভূমিতে রেখে দেয়া হয়, আমি মনে করি তারা এড়ফ কে বিশ্বাস করবে।’
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন। ইসলামের পরিচয় ও মূল্য অনুধাবনের সুযোগ দিন ও আমাদেরকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন।